সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :: লাল-সবুজের পতাকা যদি থাকে বঙ্গবন্ধু সেখানে থাকবেন। লাল-সবুজের পতাকা থাকলে ৩০ লাখ শহীদ আর দুই লাখ নির্যাতিত মা-বোনকে আমরা খুঁজে পাবো। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বেই পাঁচ হাজার বছরের বাঙালি জাতির ইতিহাসে প্রথম বাঙালি জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু ছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে কল্পনা করা যায় না। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ অবিচ্ছেদ্য সত্তা। বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের পথ পরিক্রমার ফসল আজকের মুক্ত স্বাধীন স্বদেশ।
বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) বিকালে শহরের পাবলিক লাইব্রেরীর শহীদ দৌলত ময়দানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
বক্তারা আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য বাঙালি জাতির স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্য। বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য ছিল খেটে খাওয়া মানুষ, কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষ সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে একটি রাজনৈতিক সমাজব্যবস্থা বিনির্মাণ। বঙ্গবন্ধুর জন্ম ও স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম পারস্পরিক সম্পর্কে যুক্ত। বঙ্গবন্ধুর দেখিয়ে দেওয়া পথ ধরে হাটছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি কঠিন থেকে কঠিনতর ষড়যন্ত্র ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে অবিশ্বাস্য গতিতে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীন বাংলাদেশকে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, শেখ হাসিনার অপ্রতিরোধ্য এগিয়ে চলাকে বার বার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীরা। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগ, সহযোগী সংগঠন ও দেশবাসীকে নিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে দাঁড় করাবেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, একটি অসাধু ব্যবসায়ী চক্র অহেতুক দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি করে দেশের মানুষের মধ্যে সরকার বিরোধী মনোভাব তৈরি করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। নেতৃবৃন্দ এসব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দলীয় নেতাকর্মী, প্রশাসন ও দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এড. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান।
জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক এম এ মনজুরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমদ সিআইপি, এড. রনজিত দাশ, নজিবুল ইসলাম, উজ্জ্বল কর, সোহেল আহমদ বাহাদুর, শাহেদ আলী শাহেদ, শাহনেওয়াজ চৌধুরী, ডাঃ পরিমল কান্তি দাশ।
নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রেজাউল করিম, মাহবুবুল হক মুকুল, খোরশেদ আলম কুতুবী, ইউনুস বাঙালি, ইঞ্জিনিয়ার বদিউল আলম, ড. নুরুল আবছার, খালেদ মোহাম্মদ, এড. সুলতানুল আলম, এটিএম জিয়া উদ্দিন চৌধুরী, আমিনুর রশীদ দুলাল, জিএম কাশেম, এসএম সাদ্দাম হোসেন, মারূফ আদনান, মাস্টার আবদুর রহিম, মোহাম্মদ তৈয়ব।
দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে ভোর ৬টায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৯টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য দান, ও সন্ধ্যা ৬টায় জন্মবার্ষিকীর কেক কর্তন এবং শত শত বেলুন উড়িয়ে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মদিন উৎযাপন করেন।
পাঠকের মতামত: